তাহারেই পড়ে মনে
সুফিয়া কামাল
কবি-পরিচিতি
সুফিয়া কামাল বাংলাদেশের বিশিষ্ট মহিলা কবি ও নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ।
যে সময়ে সুফিয়া কামালের জন্ম তখন বাঙালি মুসলমান নারীদের কাটাতে হত গৃহবন্দি জীবন। স্কুল কলেজে পড়ার কোনো সুযোগ তাদের ছিল না। পরিবারে বাংলা ভাষার প্রবেশ একরকম নিষিদ্ধ ছিল। ঐ বিরুদ্ধ পরিবেশে সুফিয়া কামাল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পাননি। পারিবারিক নানা উত্থান পতনের মধ্যে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন তিনি। তারই মধ্যে তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চায় নিজেকে নিবেদিত করেছেন। পরবর্তীকালে সাহিত্য সাধনা ও নারী আন্দোলনে ব্রতী হয়ে তিনি শুধু মহিলা কবি হিসেবেই বরণীয় হননি, বাংলাদেশের জনমানসে ভাস্বর হয়েছেন নন্দিতা মাতৃমূর্তিতে।
সুফিয়া কামালের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে : ‘সাঁঝের মায়া', ‘মায়া কাজল', ‘কেয়ার কাঁটা', ‘উদাত্ত পৃথিবী' ইত্যাদি। তিনি গল্প, ভ্রমণকাহিনী, প্রবন্ধ ও স্মৃতিকথা ইত্যাদিও লিখেছেন। অনেকগুলো পদক ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন সুফিয়া কামাল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে : বাংলা একাডেমী পুরস্কার, একুশে পদক, নাসির উদ্দীন স্বর্ণপদক ইত্যাদি।
সুফিয়া কামালের পৈতৃক নিবাস কুমিল্লায়। তাঁর জন্ম ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে বরিশালে এবং মৃত্যু ১৯৯৯ খ্রিষ্টব্দে ঢাকায়।
‘‘হে কবি, নীরব কেন ফাগুন যে এসেছে ধরায়,
বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?’’
কহিল সে স্নিগ্ধ আঁখি তুলি-
‘‘দক্ষিণ দুয়ার গেছে খুলি?
বাতাবি নেবুর ফুল ফুটেছে কি? ফুটেছে কি আমের মুকুল?
দখিনা সমীর তার গন্ধে গন্ধে হয়েছে কি অধীর আকুল?’’
‘‘এখনো দেখনি তুমি?’’ কহিলাম, ‘‘কেন কবি আজ
এমন উন্মানা তুমি? কোথা তব পুষ্টসাজ?’’
কহিল সে সুদূরে চাহিয়া-
‘‘অলখের পাথার বাহিয়া
তরী তার এসেছে কি? বেজেছে কি আগমনী গান?
ডেকেছে কি সে আমারে? শুনি নাই, রাখি নি সন্ধান।’’
কহিলাম, ‘‘ওগো কবি! রচিয়া লহ না আজও গীতি,
বসন্ত-বন্দনা তব কণ্ঠে শুনি-এ মোর মিনতি।’’
কহিল সে মৃদু মধু-স্বরে-
‘‘নাই হল, না হোক এবারে-
আমারে গাহিতে গান, বসন্তেরে আনিতে বলিয়া
রহেনি, সে ভুলেনি তো, এসেছে তা ফাগুনে স্মরিয়া।’’
কহিলাম : ‘‘ওগো কবি, অভিমান করেছ কি তাই?
যদিও এসেছে তবু তুমি তারে করিলে বৃথাই।’’
কহিল সে পরম হেলায়-
‘‘বৃথা কেন? ফাগুন বেলায়
ফুল কি ফোটেনি শাখে? পুষ্পারাতি লভেনি কি ঋতুর রাজন?
মাধবী কুঁড়ির বুকে গন্ধ নাহি? করে নাই অর্ঘ্য বিরচন?’’
‘‘হোক, তবু বসন্তের প্রতি কেন এই তব তীব্র বিমুখতা?’’
কহিলাম, ‘‘উপেক্ষায় ঋতুরাজে কেন কবি দাও তুমি ব্যথা?’’
কহিল সে কাছে সরে আসি-
‘‘কুহেলি উত্তরী তলে মাঘের সন্ন্যাসী-
গিয়াছে চলিয়া ধীরে পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে
রিক্ত হস্তে! তাহারেই পড়ে মনে, ভুলিতে পারি না কোন মতে।’’
শব্দার্থ ও টীকা
হে কবি - কবিভক্ত এখানে কবিকে সম্বোধন করেছেন।
নীরব কেন - উদাসীন হয়ে আছেন কেন? কেন কাব্য ও গান রচনায় সক্রিয় হচ্ছেন না?
ফাগুন যে এসেছে ধরায় - পৃথিবীতে ফালগুন অর্থাৎ বসন্তের আবির্ভাব ঘটেছে।
বরিয়া - বরণ করে।
লবে - নেবে।
তব বন্দনায় - তোমার রচিত বন্দনা-গানের সাহায্যে। অর্থাৎ বন্দনা-গান রচনা করে বসন্তকে কি তুমি বরণ করে নেবে না?
দক্ষিণ দুয়ার গেছে খুলি? - কবির জিজ্ঞাসা-বসন্তের দখিনা বাতাস বইতে শুরু করেছে কিনা। উদাসীন কবি যে তা লক্ষ করেন নি তার এই জিজ্ঞাসা থেকে তা স্পষ্ট হয়।
সমীর - বাতাস।
বাতাবি নেবুর ফুল ...
অধীর আকুল - বসন্তের আগমনে বাতাবি লেবুর ফুল ও আমের মুকুলের গন্ধে দখিনা বাতাস দিগ্বিদিক সুগন্ধে ভরে তোলে। কিন্তু উন্মনা কবি এসব কিছুই লক্ষ করেননি। কবির জিজ্ঞাসা তাঁর উদাসীনতাকেই স্পষ্ট করে।
এখনো দেখ নি তুমি? - কবিভক্তের এ কথায় আমরা নিশ্চিত হই প্রকৃতিতে বসন্তের সব লক্ষণ মূর্ত হয়ে উঠেছে। অথচ কবি তা লক্ষ করছেন না।
উন্মনা - অন্যমনস্ক, অনুৎসুক।
কোথা তব নব পুষ্পসাজ? - বসন্ত এসেছে অথচ কবি নতুন ফুলে ঘর সাজান নি। নিজেও ফুলের অলংকারে সাজেন নি।
অলখ - অলক্ষ, দৃষ্টির অগোচর।
পাথার - সমুদ্র।
রচিয়া - রচনা করে।
লহ - নাও।
বসন্ত বন্দনা - বসন্ত ঋতুকে স্তুতি।
বরিয়া - বরণ করে।
বসন্তেরে আনিতে ..
ফাগুন স্মরিয়া - কবি বন্দনা-গান রচনা করে বসন্তকে বরণ না করলেও বসন্ত অপেক্ষা করেনি। ফাল্গুন আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতিতে বসন্ত এসেছে।
করিলে বৃথাই - ব্যর্থ করলে। অর্থাৎ কবি-ভক্তের অনুযোগ-বসন্তকে কবি বরণ না করায় বসন্তের আবেদন গুরুত্ব হারিয়েছে।
হেলায় - অবজ্ঞাভরে, অবহেলা করে।
পুষ্পারতি - ফুলের বন্দনা বা নিবেদন।
পুষ্পারতি লভে নি কি
ঋতুর রাজন? - ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ ও বন্দনা করার জন্য গাছে গাছে ফুল ফোটে নি? অর্থাৎ বসন্তকে সাদর অভ্যর্থনা জানানোর জন্যেই যেন ফুল ফোটে।
মাধবী - বাসন্তীলতা বা তার ফুল।
অর্ঘ্যবিরচন - অঞ্চলি বা উপহার রচনা। প্রকৃতি বিচিত্র সাজে সজ্জিত হয়ে ফুল ও তার সৌরভ উপহার দিয়ে বসন্তকে বরণ করে।
বিমুখতা - অনাগ্রহ। বিরূপ ভাব। অপ্রসন্নতা।
উপেক্ষায় ঋতুরাজে কেন
কবি দাও তুমি ব্যথা - কবিভক্ত বুঝতে পারছেন না, কবি যথারীতি সানন্দে বসন্ত বন্দনা না করে তার দিকে মুখ ফিরিয়ে রয়েছেন কেন।
কুহেলী - কুয়াশা।
উত্তরী - চাদর। উত্তরীয়।
কুহেলি উত্তরী তলে
মাঘের সন্ন্যাসী - কবি শীতকে মাঘের সন্ন্যাসীরূপে কল্পনা করেছেন। বসন্ত আসার আগে সর্বত্যাগী সর্বরিক্ত সন্ন্যাসীর মতো মাঘের শীত যেন কুয়াশার চাদর গায়ে মিলিয়ে গেছে।
পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে - শীত প্রকৃতিতে দেয় রিক্ততার রূপ। গাছের পাতা যায় ঝরে। গাছ হয় ফুলহীন। শীতের এ রূপকে বসন্তের বিপরীতে স্থাপন করা হয়েছে। প্রকৃতি বসন্তের আগমনে ফুলের সাজে সাজলেও কবির মন জুড়ে আছে শীতের রিক্ততার ছবি। শীত যেন সর্বরিক্ত সন্ন্যাসীর মতো কুয়াশার চাদর গায়ে পত্রপুষ্পহীন দিগন্তের পথে চলে গেছে।
তাহারেই পড়ে মনে - প্রকৃতিতে বসন্ত এলেও কবির মন জুড়ে আছে শীতের রিক্ত ও বিষণ্ণ ছবি। কবির মন দুঃখ ভারাক্রান্ত। তার কণ্ঠ নীরব। শীতের করুণ বিদায়কে তিনি কিছুতেই ভুলতে পারছেন না। তাই বসন্ত তার মনে কোন সাড়া জাগাতে পারছে না। বসন্তের সৌন্দর্য তার কাছে অর্থহীন, মনে কোন আবেদন জানাতে পারছে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তাঁর প্রথম স্বামী ও কাব্যসাধনার প্রেরণা-পুরুষের আকস্মিক মৃত্যুতে কবির অন্তরে যে বিষণ্ণতা জাগে তারই সুস্পষ্ট প্রভাব ও ইঙ্গিত এ কবিতায় ফুটে উঠেছে।
উৎস
‘তাহারেই পড়ে মনে' কবিতাটি ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে ‘মাসিক মোহাম্মদী' পত্রিকায় [নবম বর্ষ ষষ্ঠ সংখ্যা ১৩৪২] প্রথম প্রকাশিত হয়।
বৈশিষ্ট্য
‘তাহারেই পড়ে মনে' কবিতায় প্রকৃতি ও মানবমনের সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তাৎপর্যময় অভিব্যক্তি পেয়েছে। সাধারণভাবে প্রকৃতির সৌন্দর্য মানবমনের অফুরন্ত আনন্দের উৎস। বসন্ত-প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য যে কবিমনে আনন্দ শিহরণ জাগাবে এবং তিনি তাকে ভাবে ছন্দে সুরে ফুটিয়ে তুলবেন সেটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু কবিমন যদি কোনো কারণে শোকাচ্ছন্ন কিংবা বেদনা-ভরাতুর থাকে তবে বসন্ত তার সমস্ত সৌন্দর্য সত্ত্বেও কবির অন্তরকে স্পর্শ করতে পারে না।
এ কবিতায় কবির ব্যক্তিজীবনের দুঃখময় ঘটনার ছায়াপাত ঘটেছে। তাঁর সাহিত্য-সাধনার প্রধান সহায়ক ও উৎসাহদাতা স্বামী সৈয়দ নেহাল হোসেনের আকস্মিক মৃত্যুতে (১৯৩২) কবির জীবনে প্রচন্ড শূন্যতা নেমে আসে। তাঁর ব্যক্তিজীবন ও কাব্যসাধনার ক্ষেত্রে নেমে আসে এক দুঃসহ বিষণ্ণতা। কবিমন আচ্ছন্ন হয়ে যায় রিক্ততার হাহাকারের। ‘তাহারেই পড়ে মনে' কবিতাকে আচ্ছন্ন করে আছে সেই বিষাদময় রিক্ততার সুর।
তাই বসন্ত এলেও উদাসীন কবির অন্তর জুড়ে রিক্ত শীতের করুণ বিদায়ের বেদনা।
কবিতাটির আর একটি লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এর নাটকীয়তা। গঠনরীতির দিক থেকে এটি সংলাপনির্ভর রচনা। কবিতার ভাবাবেগময় ভাববস্তুর বেদনাঘন বিষণ্ণতার সুর এবং সুললিত ছন্দ এতই মাধুর্যমন্ডিত যে তা সহজেই পাঠকের অন্তর ছুঁয়ে যায়।
ছন্দ
কবিতাটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত। ৮ ও ১০ মাত্রার পর্ব। স্তবক বিন্যাসে কিছুটা বৈচিত্র্য আছে।
অনুশীলনমূলক কাজ
কবিতা উপলব্ধি
১. এ কবিতার বর্ণনাকারী কে? কবি নিজে? না কবিভক্ত?
২. লক্ষ করলে বুঝতে পারবে পুরো কবিতাটি রচিত হয়েছে কবি ও কবিভক্তের সংলাপের মাধ্যমে।
একজন ছাত্র কবিভক্তের ভূমিকা এবং একজন ছাত্রী কবির ভূমিকা নাও। এবার দুজনে নিজ নিজ অংশ আবৃত্তি কর।
৩. ‘তাহারেই পড়ে মনে' কবিতায় কার কথা কবির মনে পড়েছে? কেন? এ কবিতায় কবির ব্যক্তিজীবনের ছায়াপাত ঘটেছে কি?
শব্দের ব্যুৎপত্তি নির্দেশ
নীরব < নিঃ+রব ফাগুন < ফাল্গুন অাঁখি < অক্ষি দুয়ার < দ্বার দখিনা < দক্ষিণ+আ আজ < অদ্য | উন্মনা < উৎ+মনা সাজ < সজ্জা অলখ < অলক্ষ কুঁড়ি < কোরক দিগন্ত < দিক+অন্ত পুারতি < পুষ্প+আরতি। |
বাতাবি - একরকম বড় আকারের লেবু। যবদ্বীপের রাজধানী ‘বাটাভিয়া' থেকে প্রথম আনীত হয় বলে এই নামকরণ হয়েছে।
মিনতি - সংস্কৃত বিনতি এবং আরবি মিনত শব্দযোগে তৈরি হয়েছে।
বানান সতর্কতা [ঈ-কার]
নীরব, সমীর, অধীর, তরী, আগমনী, গীতি, মাধবী, তীব্র, সন্ন্যাসী, ধীরে, উত্তরী।
না-বাচক ক্রিয়া বিশেষণ
নি - এখনো দেখ নি তুমি?
ফুল কি ফোটে নি শাখে?
পুস্পারতি লভে নি কি ঋতুর রাজন? রাখি নি সন্ধান
রহে নি, সে ভুলে নি তো।
না- বসন্তেবরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?
রচিয়া লহ না আজও গীতি।
ভুলিতে পারি না কোন মতে।
নাই- শুনি নাই, রাখি নি সন্ধান
নাই হল, না হোক এবারে
করে নাই অর্ঘ্য বিরচন?
দীর্ঘ-উত্তর প্রশ্ন
১. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটির ভাববস্ত্ত নিজের ভাষায় লেখ।
২. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় বসন্তের যে রূপচিত্র ফুটে উঠেছে তা বর্ণনা কর। বসন্তের ঐ রূপ কবির মনে সাড়া জাগাতে পেরেছে কি? কেন?
বিষয়ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত-উত্তর প্রশ্ন
১. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কার কথা কবির মনে পড়ে? কেন?
২. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটি নাটকীয় গুণসম্পন্ন।- সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।
৩. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় প্রকৃতির সৌন্দর্য ও কবির মনের অবস্থার মধ্যে কোনটি প্রধান হয়ে উঠেছে বলে তুমি মনে কর? কেন?
ভাষাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত-উত্তর প্রশ্ন
১. না-বাচক ক্রিয়া-বিশেষণ নি, না, নাই-এর দুটি করে প্রয়োগ দেখাও।
২. নিচের শব্দগুলোর মূল নির্দেশ কর :
ফাগুন, দখিনা, আজ, সাজ, কুঁড়ি, দুয়ার।
৩. শিষ্ট চলিত রূপ লেখ :
বরিয়া, লবে, তব লহ, স্মরিয়া, লভে নি।
৪. শিষ্ট চলিত গদ্যে রূপান্তর কর :
ক) কহিলাম, ‘‘ওগো কবি! রচিয়া লহ না আজও গীতি,
বসন্ত-বন্দনা তব কণ্ঠে শুনি-এ মোর মিনতি।’’
খ) ‘‘নাই হল, না হোক এবারে-
আমারে গাহিতে গান, বসন্তেরে আনিতে বরিয়া-
রহে নি, সে ভুলে নি তো, এসেছে তা ফাগুনে স্মরিয়া।’’
ব্যাখ্যা
সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা লেখ :
১. অলখের পাথার .......... আগমনী গান?
২. কুহেলি উত্তরী .......... পথে রিক্ত হস্তে।