বঙ্গভাষা
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
কবি-পরিচিতি
মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের এক অসাধারণ প্রতিভাধর কবি। তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার জনক।
তাঁর সমগ্র জীবন ঘটনাবহুল ও অত্যন্ত নাটকীয়। হিন্দু কলেজে অধ্যয়নকালে ইংরেজি সাহিত্যের প্রতি সৃষ্টি হয়েছিল তাঁর তীব্র অনুরাগ। খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করায় তাঁর নামের আগে ‘মাইকেল' নামটি যুক্ত হয়।
মধুসূদন গ্রিক, ল্যাটিন, হিন্দু, ফরাসি, জার্মান, ইতালিয় ইত্যাদি ১৩/১৪ টি ভাষা শিখেছিলেন এবং পাশ্চাত্য চিরায়ত সাহিত্য অধ্যয়ন করেছিলেন।
সাহিত্যচর্চার শুরুতে তিনি ইংরেজি ভাষায় গ্রন্থ রচনা করেন। পরে ভুল ভাঙলে বাংলা ভাষা-সাহিত্যে অবদান রেখে চিরস্মরণীয় হন তিনি।
মধুসূদন অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন করে বাংলা কাব্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত করেন। তাঁর বিখ্যাত ‘মেঘনাদ বধ কাব্য' বাংলা ভাষায় প্রথম সার্থক মহাকাব্য।
‘শর্মিষ্ঠা' ‘পদ্মাবতী' ইত্যাদি আধুনিক বাংলা নাটকের প্রথম রচয়িতাও তিনি। তাঁর লেখা ‘একেই কি বলে সভ্যতা' ও ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ' বাংলা সাহিত্যের প্রথম দু'টি সার্থক প্রহসন। প্রথম বাংলা সনেট রচয়িতাও তিনি। তাঁর লেখা সনেটগুলো ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী' গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। মাইকেলের অন্য কাব্যগ্রন্থ ‘তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য', ‘ব্রজাঙ্গনা' ও ‘বীরঙ্গনা'। মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম যশোর জেলার সাগরদাড়ি গ্রামে ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দে, মৃত্যু ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দে।
হে বঙ্গ, ভান্ডারে তব বিবিধ রতন;-
তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি,
পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ
পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।
কাটাইনু বহু দিন সুখ পরিহরি!
অনিদ্রায়, অনাহারে সঁপি কায়, মনঃ
মজিনু বিফল তপে অবরেণ্যে বরি;-
কেলিনু শৈবালে, ভুলি কমল-কানন!
স্বপ্নে তব কুললক্ষ্মী কয়ে দিলা পরে,-
‘ওরে বাছা, মাতৃকোষে রতনের রাজি,
এ ভিখারী-দশা তবে কেন তোর আজি?
যা ফিরি, অজ্ঞান তুই, যা রে ফিরি ঘরে।'
পালিলাম আজ্ঞা সুখে; পাইলাম কালে
মাতৃভাষা-রূপ খনি, পূর্ণ মণিজালে।
শব্দার্থ ও টীকা
হে বঙ্গ - বঙ্গ বলতে কবি বাংলা ভাষাকেই বুঝিয়েছেন এবং তাকেই সম্বোধন করেছেন।
ভান্ডারে তব বিবিধ রতন - বাংলা ভাষায় রচিত সাহিত্য-ভান্ডার বৈচিত্রময় ও উৎকর্ষমন্ডিত সাহিত্য-সম্পদে পরিপূর্ণ।
তা সবে - সে সবকে, সেগুলোকে।
অবোধ - নির্বোধ, কান্ডজ্ঞানহীন।
পরধন-লোভে মত্ত - পরের সম্পদের লোভে অতিমাত্রায় আকৃষ্ট। পরধন বলতে পাশ্চাত্য সাহিত্যকে বুঝিয়েছেন। কবি মধুসূদনের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা ছিল ইংরেজি সাহিত্যের কবি হবার। তাই তিনি পাশ্চাত্য সাহিত্যের ভাব-সম্পদ আহরণে মনোনিবেশ করেছিলেন। তাঁর সাহিত্য-সাধনার সূচনা হয়েছিল ইংরেজি সাহিত্য রচনার মাধ্যমে। পরে ভুল বুঝতে পেরে বাংলা সাহিত্যের সাধনায় আত্মনিয়োগ করেন।
পরদেশে - বিদেশের সাহিত্যক্ষেত্র্যে। ইউরোপে কবির প্রবাসজীবনের কথা এখানে বলা হয়নি। কারণ সাহিত্য জীবনের শেষে অর্থোপার্জনের আশায় কবি দেশত্যাগ করেছিলেন।
ভিক্ষাবৃত্তি - বিদেশি সাহিত্যকে পরধন বিবেচনা করায় তার চর্চাকে তিনি ভিক্ষাবৃত্তির সমতুল্য মনে করেছেন। নিজের সম্পদকে উপেক্ষা করে অন্য ভাষায়র সম্পদের দ্বারস্থ হওযার জন্য অনুশোচনা ও আত্মসমালোচনার বোধ এখানে প্রকাশিত হয়েছে।
কুক্ষণে - অশূভ সময়ে। অনভিপ্রেত মুহূর্তে।
আচরি - আচরণ করে। অবলম্বন করে।
কাটাইনু - কাটালাম।
পরিহরি - পরিহার করে। ত্যাগ করে। এখানে বঞ্চিত হয়ে।
সঁপি - সঁপে, সমর্পণ করে।
কায় - দেহ, শরীর।
মনঃ - মন, অন্তর, অন্তঃকরণ, চিত্ত।
মজিনু - মগ্ন হলাম, বিভোর হলাম, অত্যধিক আসক্ত হলাম।
বিফল তপে - নিষ্ফল বা ব্যর্থ তপস্যায়।
অবরেণ্যে - যা বরণ বা গ্রহণযোগ্য নয়। বিদেশি ভাষাকে পরধণ হিসেবে দেখেছেন বলেই কবি ‘অবরেণ্যে' শব্দ প্রয়োগ করেছেন। প্রয়োগটিকে এই অর্থেও হয়ত নেওয়া যেতে পারে- যা বরণ করা বা গ্রহণ করা সাধ্য বা সামর্থ্যের বাইরে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন বহুভাষাবিদ বাঙালি। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় শ্রেষ্ঠ বহু সাহিত্যকর্মের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ পরিচয় ছিল; কিন্তু মাতৃভাষার চেয়ে বড়ো কিচু হতে পারে না- এই বোধই কবিতে তাঁর নিজের ভাষা-সাহিত্যের কাছে ফিরিয়ে এনেছিল।
বরি - বরণ করে। কবি মধুসূদন তাঁর সাহিত্য-চর্চার শুরুতে পাশ্চাত্য সাহিত্যের সাধনায় ব্রতী হয়েছিলেন। মাদ্রাজে থাকাকালে প্রচন্ড পরিশ্রম করেন বিভিন্ন ভাষা ও সাহিত্য অধ্যয়নে। মাতৃভাষাকে উপেক্ষা করে ইংরেজি ভাষার কাব্য রচনা করার জন্য যে প্রয়াস সে সময়ে তিনি চালিয়েছিলেন তা যে ব্যর্থ প্রয়াস ছিল তা তিনি শেষ পর্যন্ত বুঝতে পারেন। এখানে আক্ষেপের সুরে সে কথাই বলেছেন তিনি।
কেলিনু - খেলা করলাম।
শৈবাল - শ্যাওলা।
কমল-কানন - পদ্মবন।
কেলিনু শৈবালে,
ভুলি কমল-কানন - কবি বাংলা ভাষাকে পদ্মের এবং ইংরেজি ভাষাকে শ্যাওলার সঙ্গে উপমিত করেছেন। কবির বক্তব্য: বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে উপেক্ষা করে বিদেশি ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা করে তিনি ভুল করেছেন এবং তার সাধনা ব্যর্থ হয়েছে। এ যেন পদ্মবনকে উপেক্ষা করে শ্যাওলা নিয়ে খেলা করা।
কুললক্ষ্মী - মাতৃভাষায় কবিতা রচনার দৈবী প্রেরণাকে কবি মাতৃভাষার অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবে কল্পনা করেছেন।
স্বপ্নে তব কুললক্ষ্মী
কয়ে দিলা পরে - মাতৃভাষায় সাহিত্যচর্চার মুলে কবি যে গভীর প্রেরণা অনুভব করেছিলেন তাকে কবি বাংলা ভাষায় অধিষ্ঠাত্রী দেবীর স্বপ্নাদেশ বলে কল্পনা করেছেন।
মাতৃকোষে - মাতৃভাষার ভান্ডারে অর্থাৎ বাংলা সাহিত্যে।
রতনের রাজি - রত্নসমূহ অর্থাৎ বিচিত্র ঐশ্বর্যময় সাহিত্যনিদর্শনগুলো।
এ ভিখারি-দশা - কবি ভিখারীর মতো বিদেশী সাহিত্যের দুয়ারে হাত পেতেছিলেন।
যা রে ফিরে ঘরে - মাতৃভাষার সাহিত্য সৃষ্টির কাজে ব্রতী হও।
আজ্ঞা - আদেশ, নির্দেশ।
পালিলাম - পালন করলাম, মান্য করলাম।
কালে - যথাসময়ে, এক সময়ে।
মাতৃভাষা রূপ-খনি,
পূর্ণ মণিজালে - মাতৃভাষা ও সাহিত্যের ভান্ডার যেন খনির মতো অনন্ত রত্নসম্পদের আকর। খনি থেকে যেমন বিচিত্র রত্নরাজি লাভ করা যায় তেমনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অজস্র ঐশ্বর্য ও সম্ভাবনায় ভরপুর। বাংলা সাহিত্যের অমূল্য রত্ন বলে যেসব সুকাব্যের কথা কবি তাঁর ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী'-তে উল্লেখ করেছেন, সেগুলো হল: কবিকঙ্কণের ‘চন্ডীমঙ্গল', ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদা-মঙ্গল', কাশীরাম দাসের ‘মহাভারত', কৃত্তিবাসের ‘রামায়ণ', কালিদাসের ‘মেঘদূত' ও জয়দেবের ‘গীতগোবিন্দ'।
উৎস
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টম্বর-অক্টোবরে বন্ধু রাজনারায়ণ বসুকে লেখা একটি চিঠিতে জানান তিনি বাংলা ভাষায় সনেট লেখা শুরু করেছেন এবং ‘কবি-মাতৃভাষা' নামে একটি সনেট লিখেছেন। পরবর্তীকালে এই সনেটটি পরিবর্তিত নবরূপে ‘বঙ্গভাষা' নামে ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী' গ্রন্থে স্থান লাভ করে।
ছন্দ
‘বঙ্গভাষা' কবিতাটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত। প্রতিটি চরণে ১৪ মাত্রার দুটি পর্ব। প্রথম পর্ব ৮ মাত্রার ও দ্বিতীয় পর্ব ৬ মাত্রার।
নির্মাণ শৈলী q সনেট
সনেট কবিতার একটি বিশেষ ধরনের রূপকল্প। একটি সনেটে ১৪ টি পঙ্ক্তি থাকে। ওই ১৪ পঙ্ক্তি ৮ পঙ্ক্তি ও ৬ পঙ্ক্তিতে বিভাজিত হয়- প্রথম ৮ পঙ্ক্তিকে বলে অষ্টক (মর্ডটশণ), আর শেষ ৬ পঙ্ক্তিকে বলে ষটক (্রর্ণ্রর্ণ)। একটি সনেট একটিমাত্র ভাবের বাহন, তার মধ্যেও অষ্টকে-ষটকে একটু পার্থক্য থাকে। অষ্টকে যে ভাব প্রকাশিত হয় ষটকে তার সম্প্রসারণ থাকে অনেক সময়- বা ঈষৎ সরানো বক্তব্য- এমনকি বিরোধী কোনো প্রশ্নও উচ্চারিত হতে পারে। কিন্তু অষ্টক-ষটক মিলিয়ে কবিতার একটি অখন্ড মন্ডল রচিত হয়। গঠনের দিক থেকে সনেট প্রধানত দু'রকম: পেত্রার্কীয় ও শেক্সপীয়রীয়।
‘বঙ্গভাষা' সনেটটি রীতি বা মিলের দিক থেকে অনিয়মিত ধরনের। কবিতার চরণগুলোর অন্তমিল এরকম : কখ কখ, খক খক, গঘ ঘগ , ঙঙ। কবিতার প্রথম চারটি চরণ ও শেষ দু'টি চরণ শেক্সপীয়রীয় রীতিতে রচিত, পঞ্চম থেকে অষ্টম- এই চারটি চরণ অনিয়মিত শেক্সপীয়রীয় ঢঙের, নবম থেকে দ্বাদশ- এই চারটি চরণে পেত্রার্কীয় ঢঙ দেখা যায়।
অনন্য বৈশিষ্ট্য
এই কবিতায় কবির ব্যক্তি জীবনের প্রভাব পড়েছে। ইংরেজি ভাষায় কবিতা রচনা করার অদম্য ইচ্ছা থেকে কবি পাশ্চাত্য সাহিত্য অধ্যয়নে গভীরভাবে মনোনিবেশ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর প্রথম কাব্য ‘ক্যাপটিভ লেডি' কাব্য হিসেবে সমাদৃত না হওয়ায় তিনি বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনার শুরু করেন এবং অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেন। ‘বঙ্গভাষা' কবিতায় এই দিকটিই অভিনব ভাবকল্পনায় বাণীরূপ পেয়েছে।
‘বঙ্গভাষা' শুধু বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট নয়, এটি বাংলা সাহিত্যের সেরা সটেনগুলোর একটি। এর ভাববস্তু যেন মার্জিত, পরিশীলিত ও সংহত তেমনি শিল্পরূপ নির্মিত উঁচু মানের। ১৪ চরণের সীমিত আঙ্গিক পরিসরে কবির অখন্ড ভাবকল্পনা ক্রমবিকশিত হয়ে চমৎকার পরিণতি পেয়েছে। অষ্টকে বর্ণিত হয়েছে, মাতৃভাষার প্রতি উপেক্ষাজনিত মনোবেদনা, ষটকে আছে স্বপ্ন-নির্দেশে সাহিত্য-সাধনার ধারার পরিবর্তনে সিদ্ধি অর্জনের পরিতৃপ্তি। এই সনেটে কবি শুধু তাঁর সুগভীর হৃদয়াবেগকেই প্রকাশ করেন নি, সব কিছুকে ছাপিয়ে উঠেছে মাতৃভাষার মহিমা এবং ঐ ভাষার প্রতি কবির সুগভীর দরদ।
‘বঙ্গভাষা' কবিতাটি সনেট রচনায় মধুসূদনের অসাধারণ সাফল্যের পরিচয় চিহ্নিত হয়ে আছে।
অনুশীলনমূলক কাজ
ভাষা অনূশীলন র কাব্যে বিশেষ রূপে ব্যবহৃত শব্দে শিষ্ট চলিত রূপ
এই কবিতায় ব্যবহৃত নিচের শব্দগুলো এবং তার শিষ্ট চলিত রূপ লক্ষ কর:
তব - তোমার সঁপি - সঁপে।
তা সবে - সে সব (কে)। মজিনু - মজলাম। নিমজ্জিত হলাম।
করি - করে। কেলিনু - খেললাম।
করিনু - করলাম। ভুলি - ভুলে।
আচরি - আচরণ করে। কয়ে দিলা - বলে দিলো।
কাটাইনু - কাটালাম। ফিরি - ফিরে
পরিহরি - পরিহার করে। পালিলাম - পালন করলাম।
এবার কবিতাটিকে শিষ্ট চলিত গদ্যে রূপান্তরিত কর।
অ-, অন- উপসর্গ
অ-, অন-উপসর্গ অন্য শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দটিকে না-বোধক অর্থ (নয়, নেই ইত্যাদি) দেয়। যেমন-
বোধ / অবোধ
নিদ্রা / অনিদ্রা
আহার / অনাহার
বরেণ্য / অবরেণ্য
জ্ঞান / অজ্ঞান
দীর্ঘ-উত্তর প্রশ্ন
১. ‘বঙ্গভাষা’ কবিতার ভাববস্ত্ত নিজের ভাষায় লেখ।
২. সনেট কাকে বলে? সনেট হিসেবে ‘বঙ্গভাষা’ কবিতাটির বৈশিষ্ট্য ও সার্থকতা আলোচনা কর।
ভাষাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত-উত্তর প্রশ্ন
১. টীকা লেখ :
ক) হে বঙ্গ, ভান্ডারে তব বিবিধ রতন।
খ) কেলিনু শৈবালে, ভুলি কমল-কানন।
গ) মাতৃ-ভাষা-রূপ খনি।
২. শিষ্ট বাঙলা রূপ নির্দেশ কর :
তা সবে, আচরি, পরিহরি, মজিনু, কেলিনু, কয়ে দিলা।
৩. নিচের শব্দগুলো কী কী উপসর্গযোগে গঠিত হয়েছে? উপসর্গগুলো কোন অর্থ প্রকাশ করেছে? উপসর্গগুলোর ব্যবহার দেখিয়ে আরও দু’টি করে শব্দ লেখ -
অনিদ্রা, অজ্ঞান, অনাহার, অনাগ্রহ।
ব্যাখ্যা
সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা লেখ :
১. পর-ধন-লোভে ................ কুক্ষণে আচরি।
২. মজিনু বিফল .............. ভুলি কমল-কানন।
৩. মাতৃ-ভাষা-রূপ খনি, পূর্ণ মণিজালে।