আঠারো বছর বয়স
সুকান্ত ভট্টাচার্য
কবি পরিচিতি
সুকান্ত ভট্টাচার্য রবীন্দ্র-নজরুলোত্তর যুগের বিদ্রোহী তরুণ কবি, যিনি নজরুলের মতোই তাঁর কাব্যে উচ্চারণ করে গেছেন অন্যায় অবিচার শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও সংগ্রামের আহবান এবং বিপ্লব ও মুক্তির পক্ষে সংগ্রামে একাত্মতার ঘোষণা।
কৈশোরে বিশ্বব্যাপী মহাযুদ্ধের ধ্বংস ও তান্ডবলীলা, দুর্ভিক্ষের করাল গ্রাসে মৃত্যু ও হাহাকার দেখে তিনি এত আলোড়িত হন যে, সামাজিক অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং নির্যাতিত মানুষের জন্যে গভীর মমতা তাঁর কবিতায় বাণীরূপ পায়। ‘ছাড়পত্র' তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ : ‘ঘুম নেই', ‘পূর্বাভাস' এবং অন্যান্য রচনা : ‘মিঠেকড়া', ‘অভিযান', ‘হরতাল' ইত্যাদি। তিনি ফ্যাসিবিরোধী লেখক শিল্পী সংঘের পক্ষে ‘আকাল' নামে একটি কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনা করেন।সুকান্তের পৈতৃক নিবাস গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়ায়। তাঁর জন্ম ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র একুশ বছর বয়সে প্রতিভাবান এ কবির অকালমৃত্যু হয়।
আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ
স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি,
আঠারো বছর বয়সেই অহরহ
বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।
আঠারো বছর বয়সের নাই ভয়
পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা,
এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়-
আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা।
এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য
বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে,
প্রাণ দেওয়া-নেওয়া ঝুলিটা থাকে না শূন্য
সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে।
আঠারো বছর বযস ভয়ংকর।
তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা,
এ বয়সে প্রাণ তীব্র আর প্রখর
এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা।
আঠারো বছর বয়স যে দুর্বার
পথে প্রান্তরে ছোটায় বহু তুফান,
দুর্যোগে হাল ঠিকমতো রাখা ভার
ক্ষত-বিক্ষত হয় সহস্র প্রাণ।
আঠারো বছর বয়সে আঘাত আসে
অবিশ্রান্ত; একে একে হয় জড়ো,
এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে
এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো।
তবু আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি,
এ বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে,
বিপদের মুখে এ বয়স অগ্রণী
এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে।
এ বয়স জেনো ভীরু, কাপুরুষ নয়
পথ চলতে এ বয়স যায় না থেমে
এ বয়সে তাই নেই কোনো সংশয়-
এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে-
শব্দার্থ ও টীকা
আঠারো বছর বয়স
কী দুঃস - এ বয়স মানবজবিনের এক উত্তরণকালীন পর্যায়। কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণ করে মানুষ এ বয়সে। অন্যদের ওপর নির্ভরশীলতা পরিহার করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিতে হয় তাকে। এদিক থেকে তাকে এক কঠিন সময়ের দুঃসহ অবস্থায় পড়তে হয়।
স্পর্ধায় নেয় মাথা
তোলবার ঝুঁকি - অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা পরিহার করে মাথা উঁচু করে স্বাধীনভাবে চলার ঝুঁকি এ বয়সেই মানুষ নিয়ে থাকে।
বিরাট দুঃসাহসেরা
দেয় যে উঁকি - নানা দুঃসাহসী স্বপ্ন, কল্পনা ও উদ্যোগ এ বয়সের তরুণদের মনকে ঘিরে ধরে।
আঠারো বছর বয়স
জানে না কাঁদা - দুর্বিনীত যৌবনে পদার্পণ করে বলে এ বয়সে মানুষ আত্মপ্রত্যয়ী হয়। জীবনের মুখোমুখি দাঁড়ায় স্বাধীনভাবে। শৈশব-কৈশোরের পরনির্ভরতার দিনগুলোতে যে কান্না ছিল এ বয়সের স্বভাববৈশিষ্ট্য তাকে সচেতনভাবে মুছে ফেলতে উদ্যোগী হয়।
এ বয়স জানে
রক্তদানের পুণ্য - দেশ, জাতি ও মানবতার জন্য যুগে যুগে এ বয়সের মানুষই এগিয়ে গেছে সবচেয়ে বেশি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়েছে সমস্ত বিপদ মোকাবেলায়। প্রাণ দিয়েছে অজানাকে জানবার জন্য। দেশ ও জনগণের মুক্তি ও কল্যাণের সংগ্রামে। তাই এ বয়স সুন্দর, শুভ ও কল্যাণের জন্য রক্তমূল্য দিতে জানে।
সঁপে আত্মাকে
শপথের কোলাহলে - তারুণ্য স্বপ্ন দেখে নতুন জীবনের, নব নব অগ্রগতি সাধনের। তাই সেইসব স্বপ্ন বাস্তবায়নে, নিত্য-নতুন করণীয় সম্পাদনের জন্য নব নব শপথে বলীয়ান হয়ে সে এগিয়ে যায় দৃঢ় পদক্ষেপে।
তাজা তাজা প্রাণে
অসহ্য যন্ত্রণা - চারপাশের অন্যায়, অত্যাচার, শোষণ, পীড়ন, সামাজিক বৈষম্য ও ভেদাভেদ ইত্যাদি দেখে প্রাণবন্ত তরুণেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
এ বয়সে প্রাণ তীব্র
আর প্রখর - অনুভূতির তীব্রতা ও সুগভীর সংবেদনশীলতা এ বয়সেই মানুষের জীবনে বিশেষ প্রকট হয়ে দেখা দেয় এবং মনোজগতে তার প্রতিক্রিয়াও হয় গভীর।
এ বয়সে কানে
আসে কত মন্ত্রণা - ভালোমন্দ, ইতিবাচক-নেতিবাচক নানা তত্ত্ব, মতবাদ, ভাবধারণার সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করে এই বয়সের তরুণেরা।
দুর্যোগে হাল ঠিক মতো
রাখা ভার - জীবনের এই সন্ধিক্ষণে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, রাজনৈতিক নানা জটিলতাকে অতিক্রম করতে হয়। এই সময় সচেতন ও সচেষ্টভাবে নিজেকে পরিচালনা করতে না পারলে পদস্থলন হতে পারে। জীবনে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
এ বয়স কারো
লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে - সচেতন ও সচেষ্ট হয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে জীবন পরিচালনা করতে না পারার অজস্র ব্যর্থতার দীর্ঘশ্বাস এ বয়সের নেতিবাচক কালো অধ্যায় হয়ে আছে।
পথ চলতে এ বয়স
যায় না থেমে - এ বয়স দেহ ও মনের স্থবিরতা, নিশ্চলতা, জরাজীর্ণতাকে অতিক্রম করে দুর্বার গতিতে। প্রগতি ও অগ্রগতির পথে নিরন্তর ধাবমানতাই এ বয়সের বৈশিষ্ট্য।
এ দেশের বুকে
আঠারো আসুক নেমে - আঠারো বছর বয়স বহু ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যে চিহ্নিত। জড় নিশ্চল প্রথাবদ্ধ জীবনকে পেছনে ফেলে নতুন জীবন রচনার স্বপ্ন, কল্যাণ ও সেবাব্রত, উদ্দীপনা, সাহসিকতা, চলার দুর্বার গতি-এসবই আঠারো বছর বয়সের বৈশিষ্ট্য। কবি প্রার্থনা করেন, এসব বৈশিষ্ট্য যেন জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়ায়।
উৎস ও পরিচিতি
সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘আঠারো বছর বয়স' কবিতাটি ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত তাঁর ‘ছাড়পত্র' কাব্যগ্রন্থ থেকে সঙ্কলিত হয়েছে। মাত্র একুশ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছিল সুকান্তের। ধারণা করা হয়, আঠারো বছর বয়সে পদার্পণের আগেই কিংবা আঠারো বছর বয়সে কবি এ কবিতাটি রচনা করেছিলেন।
এ কবিতায় কবি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বয়ঃসন্ধিকালের বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেছেন। কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের এ বয়সটি উত্তেজনার, প্রবল আবেগ ও উচ্ছবাসে জীবনের ঝুঁকি নেবার। এ বয়স অদম্য দুঃসাহসে সকল বাধা-বিপদকে পেরিয়ে যাওযার এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার।
এ বয়সের ধর্মই হলো আত্মত্যাগের মহান মন্ত্রে উজ্জীবিত হওয়া, আঘাত-সংঘাতের মধ্যে রক্তশপথ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া। পাশাপাশি সমাজজীবনের নানা বিকার, অসুস্থতা ও সর্বনাশের অভিঘাতে এ বয়স আবার হয়ে উঠতে পারে ভয়ঙ্কর। বিকৃতি ও বিপর্যয়ের অজস্র আঘাতে ক্ষতবিক্ষত ও নিঃশেষিত হতে পারে সহস্র প্রাণ।
কিন্তু অদম্য এ বয়সের কাছে সমস্ত দুর্যোগ আর দুর্বিপাক মোকাবেলা করার অদম্য প্রাণশক্তি। ফলে তারুণ্য ও যৌবনশক্তি দুর্বার বেগে এগিয়ে যায় প্রগতির পথে। যৌবনের উদ্দীপনা, সাহসিকতা, দুর্বার গতি, নতুন জীবন রচনার স্বপ্ন এবং কল্যাণব্রত-এসব বৈশিষ্ট্যের জন্য কবি প্রত্যাশা করেছেন নানা সমস্যাপীড়িত আমাদের দেশে তারুণ্য ও যৌবনশক্তি যেন জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়ায়।
ছন্দ
‘আঠারো বছর বয়স' কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত। ৬ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত ছন্দ। প্রতি চরণে মাত্রাসংখ্যা ১৪ (৬+৬+২)।
অনুশীলনমূলক কাজ
কবিতার মর্মার্থ উপলব্ধি q ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক
জগতে সমস্ত কিছুরই দুটি বিপরীত দিক রয়েছে। যেমন: ভাল-মন্দ, উত্তর-দক্ষিণ, হাসি-কান্না, জয়-পরাজয়, সুন্দর-কুৎসিত, জন্ম-মৃত্যু ইত্যাদি। আমরা যখন কোনো কিছু সম্পর্কে ধারণা পোষণ করি তখন তার ভাল ও মন্দ দুটো দিক আমাদের বিচার করে দেখতে হয়।
তারুণ্যের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যেগুলো আমরা মানবজীবনে শুভ ও মঙ্গলজনক বলে মনে করি। এসব দিককে আমরা বলতে পারি ইতিবাচক দিক। আবার তারুণ্যের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যা সমাজের জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। এসব দিককে আমরা বলতে পারি নেতিবাচক দিক।
‘আঠারো বছর বয়স' কবিতায় ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটি দিক সম্পর্কে কবি নিজের ধারণা ব্যক্ত করেছেন কি?
কবিতার শৈলী q পুনরাবৃত্তি
এ কবিতায় ‘আঠারো বছর বয়স' এবং ‘এ বয়সে' কথাটি নানাভাবে এসেছে।
কখনও ‘আঠারো বছর বয়স' কথাটি এসেছে স্তবকের শুরুতে, কখনও বা স্তবকের শেষে, কখনও তা স্তবকের অন্য চরণেও ব্যবহৃত হয়েছে। প্রথম, দ্বিতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ স্তবক লক্ষ করলে এ ধরনের পুনরাবৃত্তিমূলক ব্যবহার তোমাদের কাছে স্পষ্ট হবে।
তেমনি ‘এ বয়সে' কথাটিও বিভিন্ন স্তবকে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন-
কখনও কেবল চরণের শুরুতে:
এ বয়স প্রায় তীব্র আর প্রখর
এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা।
কখনও চরণের শুরুতে, মধ্যে বা সর্বত্র:
এ বয়স জোনো ভীরু, কাপুরুষ নয়
পথ চলতে এ বয়স যায় না থেমে,
এ বয়সে তাই নেই কোনো সংশয়-
বক্তব্যকে অধিকতর স্পষ্ট, আবেগময়, জোরালো কিংবা বিস্তৃত করার জন্যই কবিতায় এ ধরনের পুনরাবৃত্তি করা হয়ে থাকে। এর ফলে কবিতা অধিকতর আবৃত্তিযোগ্য হয়ে ওঠে।
ভাষা অনুশীলন
সন্ধিতে বিসর্গ স্থলে রেফ ( র্)
দুঃ-উপসর্গের পর ‘স' থাকলে সন্ধিবদ্ধ শব্দে বিসর্গ বজায় থাকে। কিন্তু ‘ব' বা ‘য' থাকলে বিসর্গ হবে।
দুঃ+সহ = দুঃসহ দুঃ+সাহস = দুঃসাহস | এ করম : দুঃসংবাদ, দুঃসময়, দুঃসাধ্য ইত্যাদি |
দুঃ+বার=দুর্বার দুঃ+যোগ =দুর্যোগ দুর্বিনীতি, | এ রকম : দুর্বিনীত, দুর্বিসহ, দুব্যবহার ইত্যাদি |
ব্যুৎপত্তি নির্দেশ
বছর < বৎসর
মাথা < মস্তক
সঁপা < সমর্পণ
ঝড় < ঝঞ্ছা
নতুন < নূতন
বানান সতর্কতা
স্পর্ধা, স্টিমার, আত্মা, ভয়ংকর, তীব্র, মন্ত্রণা, ক্ষত-বিক্ষত, দীর্ঘশ্বাস, জয়ধ্বনি, অগ্রণী, ভীরু, সংশয়।
উচ্চারণ সতর্কতা
দুঃসহ (দুস্সহো), বছর (বছোর)
দুঃসাহস (দুস্সাহস্), বয়স (বয়োস্)
শূন্য (শুন্নো), ক্ষত-বিক্ষত (খতো-বিখ্খতো)
শপথ (শপোথ্), লক্ষ (লোক্খো)
অসহ্য (অসোজ্ঝো), জয়ধ্বনি (জয়োদ্ধোনি)
তীব্র (তিব্ব্রো), সংশয় (সংশয়)
প্রখর (প্রোখর)।
দীর্ঘ-উত্তর প্রশ্ন
১. ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবির যে অনুভবের প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় লেখ।
২. ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় তারুণ্যের যেসব বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো গুছিয়ে লেখ। কবির ধারণার সঙ্গে তুমি কি একমত পোষণ কর?
বিষয়ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত-উত্তর প্রশ্ন
১. ‘আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ’- কেন?
২. ‘আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা’- কথাটির মাধ্যমে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
৩. ‘এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা’- বুঝিয়ে দাও।
৪. ‘এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে’- এ অংশে কবি কোন দিকের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন?
৫. তারুণ্যের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো সংক্ষেপে তুলে ধর। কোনটির ওপর কবি গুরুত্ব দিয়েছেন বেশি?
ভাষাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত-উত্তর প্রশ্ন
১. একই দুঃ-উপসর্গ যোগে গঠিত হওয়া সত্ত্বেও ‘দুঃসহ’ এবং ‘দুর্যোগ’ বানানে পার্থক্য দেখা যায় কেন? উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও।
২. নিচের শব্দগুলোর ব্যুৎপত্তি নির্দেশ কর :
ঝড়, বছর, মাথা, নতুন, সঁপা।
৩. উচ্চারণ নির্দেশ কর :
দুঃসাহস, শূন্য, অসহ্য, ক্ষত-বিক্ষত, জয়ধ্বনি, তীব্র।
ব্যাখ্যা
সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা লেখ :
১. এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়-
২. এ বয়স জানে রক্তদানের ..... শপথের কোলাহলে।
৩. এ বয়স কালো লক্ষ ........ বেদনায় থরোথরো।
৪. এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে।
৫. এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।