বাংলাদেশ
অমিয় চক্রবর্তী
কবি - পরিচিতি
রবীন্দ্রোত্তর যুগের অন্যতম প্রধান আধুনিক কবি অমিয় চক্রবর্তী এক সময় ছিলেন রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত সচিব। তিনি লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছিলেন অক্সফোর্ডে। তিন দশক কাটিয়েছেন আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে। এদিক থেকে এক বিশ্ব নাগরিক মননের অধিকারী তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের মাটির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল সব সময় অবিচ্ছেদ্য। এক সময় রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যসচিব হিসেবে তাঁর প্রজন্মের অন্য সব কবির তুলনায় তিনি রবীন্দ্রনাথের সান্নিধ্যে ছিলেন সবচেয়ে বেশি। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের পথানুসারী তিনি হন নি। এমনকি তাঁর প্রথম কবিতাগ্রন্থ ‘খসড়া' রবীন্দ্রপ্রভাববর্জিত আধুনিকতার অনন্য বৈশিষ্ট্যে চিহ্নিত।
অমিয় চক্রবর্তীর কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘একমুঠো', ‘মাটির দেয়াল', ‘অভিজ্ঞানবসন্ত', ‘পারাপার', ‘পালাবদল', ‘পুত ইমেজ', ‘অমরাবতী', ‘ঘরে ফেরার দিন' ও ‘অনিঃশেষ'। তাঁর ‘পারাপার' ও ‘পালাবদল' কাব্যের পটভূমি চার মহাদেশ-পরিব্যাপ্ত অমিয় চক্রবর্তীর জন্ম ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের হুগলির শ্রীরামপুরে। তাঁর মৃত্যু ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে।
কল্যাণীর ধারাবাহী যে-মাধুরী বাংলা ভাষায়
গড়েছে আত্মীয় পল্লী, যমুনা-পদ্মার তীরে তীরে
রূপোলি জলের ধারে, আম-জাম-নারকেল ঘেরা
আমন ধানের খেতে শ্রুতিময় তারি অন্তলীন
বাণী শোনো প্রাত্যাহিক-বহু মিশ্র প্রাণের সংসারে
সেই বাংলাদেশে ছিল সহস্রের একটি কাহিনী
কোরানে পুরাণে শিল্পে, পালা-পার্বণের ঢাকে-ঢোলে
আউল বাউল নাচে; পুণ্যাহের সানাই রঞ্জিত
রোদ্দুরে আকাশতলে দেখ কারা হাটে যায়, মাঝি
পাল তোলে, তাঁতি বোনে, খড়ে-ছাওয়া ঘরের আঙনে
মাঠে ঘাটে- শ্রমসঙ্গী নানাজাতিধর্মের বসতি
চিরদিন বাংলাদেশ-
ওরা কারা বুনো দল ঢোকে
এরি মধ্যে (থামাও, থামাও), স্বর্ণশ্যাম বুক ছিড়ে
অস্ত্র হাতে নামে সান্ত্রী কাপুরুষ, অধম রাষ্ট্রের
রক্ত পতাকা তোলে, কোটি মানুষের সমবায়ী
সভ্যতার ভাষা এরা রদ করবে ভাবে, মরু-পশু
মারীর অন্ধতা ঝড়ে হানে অসহায় নরনারী
অলভ্য জয়ের লোভে, জ্বালায় শহর, গ্রামে গ্রামে
প্রাচীন সংহতি ভেঙে ভগ্নস্তূপে দূরের উল্লুক
বাঁধে কেল্লা, (পারবে না, পারবে না,) পাপাশ্রয়ী পরজীবী
যতই লুণ্ঠন করে শস্য পাট পণ্য, ঘরে ঘরে
ছড়ায় অমেয় শোক, ধর্মনাশ হত্যার ছায়ায়
ঘেরে আর্ত গৃহস্থালি, চতুর্গুণ হিন্দু মুসলমান
বাংলার বাঙালি তত জানে জন্মমৃত্যুর বন্ধনে
অভিন্ন আপন সত্তা,
লক্ষ লক্ষ হা-ঘরে দুর্গত
ঘৃণ্য যম-দূত-সেনা এড়িয়ে সীমান্তপারে ছোটে,
পথে পথে অনশনে অন্ডিম যন্ত্রণা রোগে ত্রাসে
সহস্রের অবসান, হন্তারক বারুদে বন্দুকে
মূর্ছিত-মৃতের দেহ বিদ্ধ করে, হত্যা-ব্যবসায়ী
বাংলাদেশ-ধ্বংস-কাব্যে জানে না পৌঁছল জাহান্নামে
এ জন্মেই;
বাংলাদেশ অনন্ত অক্ষত মূর্তি জাগে-
শব্দার্থ ও টীকা
কল্যাণী - মঙ্গলময়ী, শুভদায়িনী।
ধারাবাহী - অবিচ্ছিন্ন।
গড়েছে আত্মীয় পল্লী - এককালে বাংলাদেশের গ্রামগুলো ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ। নানা সম্প্রদায়ের বসতি সেসব গ্রামকে অভিন্ন আত্মিক বন্ধনে বেঁধেছে বাংলা ভাষা।
শ্রুতিময় তারি অন্তর্লীন বাণী - আবহমান বাংলাদেশের জনগণের অন্তরের সঙ্গে একেবারে মিশে যাওয়া মর্মবাণী হচ্ছে সম্প্রীতি ও শুভবোধ।
বহু মিশ্র প্রাণের সংসারে - বহুকাল ধরে বহু জাতির বিভিন্ন ও বিচিত্র জনস্রোত এসে মিশেছে বাংলার মাটিতে। ঐ জনবৈচিত্রের বহুমুখী সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছে বাঙালি জাতি। এ জাতি গঠনের মূল উপাদান এসেছে ইন্দো-ভূমধ্য নৃগোষ্ঠীর অন্তর্গত বিভিন্ন জাতি। তার সঙ্গে মিশেছে দ্রাবিড় (মেলানাইড), ডেড্ডিড (প্রোটো অস্ট্রোলয়েড) ও কিছুটা মঙ্গোলীয় রক্ত। আমাদের জাতিত্বে, সংস্কৃতিতে, ভাষায়, আচার-আচরণে, ধর্মবোধ ও বিশ্বাসে এসব জনগোষ্ঠীর প্রভাব রয়েছে। এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের উক্তি স্মরণীয় :
ভেদি মরুপথ গিরি পর্বত
যারা এসেছিল সবে
তারা মোর মাঝে সবাই বিরাজে
কেহ নহে নহে দূর-
আমার শোণিতে রয়েছে ধ্বনিতে
তার বিচিত্র সর।
সহস্রের একটি কাহিনী - অজস্র বৈচিত্র নিয়ে গড়া ঐক্য।
পুণ্যাহ - কর্ম অনুষ্ঠানের শুভ বা পবিত্র দিন। শুভ দিনে বছরের খাজনা আদায় আরম্ভ অনুষ্ঠান।
ওরা কারা বুনো
দল ঢোকে - ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম হামলার প্রসঙ্গ এখানে উত্থাপন করা হয়েছে।
স্বর্ণশ্যাম - সোনালি-শ্যামল।
সাস্ত্রী কাপুরুষ - পাকিস্তানি সেনাদের ভীরু বলা হয়েছে, কারণ নিরস্ত্র বাঙালির বিরুদ্ধে তারা সর্বাধুনিক অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছিল।
অধম রাষ্ট্র - কৃত্রিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র ও নির্যাতনমূলক এবং গণবিরোধী ভূমিকার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।
রক্ত পতাকা তোলে - জনগণের রক্তরঞ্জিত পাকিস্তানি পতাকাকে উত্তোলন করে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী।
কোটি মানুষের সমবায়ী
সভ্যতার ভাষা - বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল ভাষা, সংস্কৃতি ও স্বাধীনতার জন্যে। হানাদাররা তাকে নস্যাৎ করতে চেয়েছিল অস্ত্রের জোরে।
মরু-পশু মারীর অন্ধতা
ঝড়ে হানে - পাকিস্তানের মরু অঞ্চল থেকে আগত পশুসৈন্যেরা অজস্র মৃত্যুর ধ্বংসলীলা সৃষ্টির জন্য প্রচন্ড আঘাত হানে।
অলভ্য জয়ের লোভে - বাস্তবে বাংলাদেশে তাদের জয় লাভ ছিল দুরাশা। কিন্তু প্রচন্ড লোভ-লালসার বশবর্তী হয়ে তারা দখলদারি বজায় রাখতে হত্যাযজ্ঞের অন্যায় পথ বেছে নিয়েছিল।
গ্রামে গ্রামে প্রাচীন
সংহতি ভেঙে - পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মম ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাকান্ড চালিয়ে আবহমান গ্রাম-বাংলার শান্ত সংহত জীবনকে তছনছ করে দিয়েছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল।
আর্ত গৃহস্থালি - পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম অত্যাচারে প্রতিটি পরিবার বিপন্ন হয়। হয় স্বজনহারা। মৃত্যুর আতঙ্কের মুখে সদা সন্ত্রস্ত হয় পারিবারিক জীবন।
চতুর্গুণ হিন্দু-মুসলমান - বাংলাদেশের বাঙালির ওপর আক্রমণ চললে সারা বিশ্বের বাঙালি হিন্দু মুসলমান তাদের পাশে সাহায্য ও সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেয়। সংহতি প্রকাশ করে স্বাধীনতার ন্যায্য দাবির সঙ্গে
হা-ঘরে - গৃহহীন, উদ্বাস্তু।
হন্তারক - হত্যাকারী।
বাংলাদেশ-ধ্বংস-কাব্যে
জানে না পৌঁছল
জাহান্নামে এ জন্মেই - হত্যাকারীরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে বাংলাদেশে ধ্বংসের কাহিনীকাব্য রচনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা জানে নি যে তারা আসলে নিজেদের নিয়ে যাচ্ছিল জাহান্নামে।
বাংলাদেশ অনন্ত অক্ষত
মূর্তি জাগে - ধ্বংস, মৃত্যু, রক্ত, অশ্রুর মধ্যদিয়ে জন্ম হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
উৎস ও পরিচিতি
অমিয় চক্রবর্তীর ‘বাংলাদেশ' কবিতাটি তাঁর ‘অনিঃশেষ' গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে। দীর্ঘ কবিতাটির কেবল প্রথমাংশ এখানে সংকলিত।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে কবিতাটি রচিত। বাংলা ভাষার হাজার বছরের মাধুরী, রূপালি নদীবিধৌত বাংলাদেশের প্রকৃতির অনুপম সৌন্দর্য-স্নিগ্ধ অজস্র পল্লী এবং কুরআন-পুরাণ-পালাপার্বনের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক নানা ঐতিহ্যময় জনজীবনে যে নারকীয় বিভীষিকা সৃষ্টি করা হয়েছিল ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর আক্রমণে, তারই ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ কবিতার ক্যানভাসে। অগ্নিসংযোগ, হত্যাকান্ড, লুণ্ঠন, নির্যাতনে তারা ছারখার করেছে গ্রামবাংলা। কিন্তু লক্ষ লক্ষ মানুষের উদ্বাস্তু জীবন, মৃত্যুর আর্তনাদ, নির্যাতনের যন্ত্রণা সত্ত্বেও বাঙালিকে দমাতে পারে নি তারা, পারে নি তার সত্তাকে বিভক্ত করতে। ফলে ধ্বংসের মৃত্যু আর্তনাদের ভেতর দিয়ে জন্ম নিয়েছে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল অনন্ত অক্ষয়মূর্তি।
ছন্দ
কবিতাটি ১৮ মাত্রার প্রবহমান অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত। প্রতি চরণে দুটি পর্ব- ৮ + ১০।
অনুশীলনমূলক কাজ
কবিতা উপলব্ধি
১. এ কবিতাটির প্রথম স্তবকের ভাববস্তুতে ফুটে উঠেছে আবহমান বাংলাদেশের ভাষা, সংস্কৃতি, রূপময় প্রকৃতি, অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও জনজীবন। স্তবকের শেষ এ লাইনটিতে তারই অনুরণন- ‘চিরদিন বাংলাদেশ'। [দ্বিতীয় স্তবক (১৩ থেকে ২৬ লাইন)]
২. কবিতাটির স্তবক শুরু হয়েছে নাটকীয় আকস্মিকতায়- ‘ওরা কারা বুনো দল ঢোকে' ইত্যাদি দিয়ে। এ অংশে প্রধান হয়ে উঠেছে হানাদার বাহিনীর অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন, হত্যাকান্ড, নির্যাতন ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশের জনজীবনকে তছনছ করার ছবি। কিন্তু এ স্তবক শেষ হয়েছে বাঙালির অপরাজেয়তার ইশারায়।
৩. তৃতীয় স্তবকে হানাদার বাহিনীর হত্যাকান্ডের প্রতিক্রিয়া। লক্ষ লক্ষ মানুষকে উদ্বাস্তু করে, অজস্র মৃত্যু ও ধ্বংসলীলা ঘটিয়ে হানাদার বাহিনী শেষ পর্যন্ত নিজেরাই পৌঁছল জাহান্নামে।
৪. চতুর্থ স্তবকে মাত্র একটি উজ্জ্বল অনির্বাণ লাইন এবং তা যেন সমস্ত ধ্বংস, হত্যা, মৃত্যুকে ছাপিয়ে উঠেছে : ‘বাংলাদেশ অনন্ত অক্ষয় মূর্তি জাগে'।
ভাষা অনুশীলন
বিসর্গসন্ধি q একটি দিন
বিসর্গযুক্ত ই বা উ ধ্বনির পর ‘গ' বা ‘দ' থাকরে বিসর্গ রেফ হয়ে যায়। যেমন :
দুঃ + গত = দুর্গত
দুঃ + ঘটনা = দুর্ঘটনা
চতুঃ+গুণ = চতুর্গুণ
চতুৎ+দিন = চতুর্দিক
নিঃ+গত = নির্গত
নিঃ+দেশ = নির্দেশ
নিঃ+দোষ = নির্দোষ।
বানান : ঈ-কারান্ত পরপদ
‘বাংলাদেশ' কবিতায় ব্যবহৃত ‘ধারাবাহী' ও ‘পরজীবী' শব্দ দুটি লক্ষ কর। শব্দ দুটি গঠিত হয়েছে ‘-বাহী' ও ‘-জবনী' পরপদ যোগে। এ ধরনের ঈ-কারান্তে পরপদ থাকলে শব্দের শেষে বানানে স্বভাবতই ঈ-কার হয়।
যেমন : -
যেমন : -
বাহী : ঐতিহ্যবাহী, নির্বাহী, পরিবাহী, প্রবাহী, ভারবাহী, রক্তবাহী।
-জীবী : ক্ষণজীবী, দীর্ঘজীবী, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, মৎস্যজীবী, শ্রমজীবী।
বানান সতর্কতা
আত্মীয়, কল্যাণী, মাধুরী, তীর, অন্তর্লীন, বাণী, পল্লী, পার্বণ, পূণ্যাহ, সঙ্গী, স্বর্ণশ্যাম, সান্ত্রী, মারী, প্রাচীন, পরাশ্রয়ী, পরজীবী, পণ্য, গৃহস্থালি, সীমান্ত, যন্ত্রণা, মূর্ছিত, স্তূপ, যমদূত, ধ্বংস, মূর্তি।
দীর্ঘ-উত্তর প্রশ্ন
১. ‘বাংলাদেশ’ কবিতার ভাববস্ত্ত গুছিয়ে লেখ।
২. ‘বাংলাদেশ’ কবিতায় ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের যে ছবি আভাসিত হয়েছে তা বর্ণনা কর।
বিষয়ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত-উত্তর প্রশ্ন
১. ‘চিরদিন বাংলাদেশ’- কথাটি দিয়ে কবি আবহমান বাংলাদেশের কোন কোন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন?
২. ‘ওরা কারা বুনো দল ঢোকে’- কাদের বোঝানো হয়েছে? ‘বাংলাদেশ’ কবিতায় তাদের কী ভূমিকার পরিচয় রয়েছে?
ভাষাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত-উত্তর প্রশ্ন
১. দুঃ ও নিঃ উপসর্গের সঙ্গে সন্ধিতে বিসর্গ হয়েছে এমন পাঁচটি সন্ধি দেখাও।
২. পরপদে ‘-বাহী’ ও ‘-জীবী’ আছে এমন দুটি করে শব্দ লিখে জটিল বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
ব্যাখ্যা
সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা লেখ :
১. খড়ে-ছাওয়া ........ বসতি চিরদিন বাংলাদেশ-
২. বাংলার বাঙালি ...... অভিন্ন আপন সত্তা।
৩. বাংলাদেশ অনন্ত অক্ষয় মূর্তি জাগে।